বেলারুশে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েনের খবর নিশ্চিত করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি বলেছেন, রাশিয়ার ভূখণ্ড কিংবা রাষ্ট্র হুমকির মুখে পড়লেই এ অস্ত্র ব্যবহার করা হবে।

স্থানীয় সময় শুক্রবার সেন্ট পিটার্সবার্গ ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক ফোরামে বক্তব্য দেয়ার সময় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট এ কথা বলেন। এ সময় গত সোমবার মারা যাওয়া ইতালির সাবেক প্রধানমন্ত্রী সিলভিও বেরলুসকোনির সম্মানে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্র বলছে, ইউক্রেন হামলায় রাশিয়া পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে যাচ্ছে-এমন কোনো ইঙ্গিত দেখা যাচ্ছে না। পুতিনের মন্তব্যের পর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন বলেন, ‘রাশিয়া পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারেরর প্রস্তুতি নিচ্ছে, আমরা এমন কোনো ইঙ্গিত পাইনি।’
 
রাশিয়ার অন্যতম মিত্র বেলারুশ গত বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে ইউক্রেন হামলায় পুতিনের অন্যতম ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।
 
রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, গ্রীষ্মের মধ্যেই কৌশলগত পারমাণবিক যুদ্ধাস্ত্র হস্তান্তর সম্পন্ন হবে। পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কেন পুরো বিশ্বকে ভয় দেখাব? আমি আগেই বলেছি, রুশ রাষ্ট্র বিপদে পড়লেই কেবল চরম পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’
 
এর আগে, গত মার্চে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট প্রথমবারের মতো বেলারুশে কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েনের ঘোষণা দেন। সে সময় তিনি জানান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপের বিভিন্ন দেশে বহু দশক ধরেই কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করে রেখেছে। রাশিয়ার এই উদ্যোগ যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা উদ্যোগ বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
 
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পুতিনের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করলে তারা ইউরোপে যেসব কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েন করে রেখেছে সেগুলো সরিয়ে নেয়ার বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নেয়নি। দেশটি স্পষ্ট করে বলেছে, এ বিষয়ে তার নিজস্ব অবস্থান পরিবর্তন করার কোনো ইচ্ছা নেই।